Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী কাঁসা-পিতল শিল্প
বিস্তারিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী কাঁসা-পিতলের তৈরি সামগ্রী সময়ের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে ও আধুনিকতার ছোয়ায়, মূল্য বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি হারিয়ে যাবার উপক্রম । তদাস্থলে আধুনিক সরঞ্জামসহ প্লাস্টিক, স্টিল ও মেলামাইন সামগ্রীর ব্যাপক ব্যবহার।

জানা যায়, শত শত বছর ধরে গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে থালা-বাসন, কলস, জগ, বদনা ও গৃহস্থলির নানা কাজে ব্যবহার হত কাঁসা-পিতলের তৈরি সামগ্রী। এমন কি জমিদাররাও ব্যবহার করত এ ধরনের তৈজসপত্র। বিভিন্ন ধরনের সৌখিন সামগ্রী হিসেবে সকলের গৃহে শোভা পেত কাঁসা-পিতলের তৈরি মনোমুগ্ধকর সামগ্রী। এমনি করে সকলের কাছে এর যথেষ্ট কদর ছিল।

বর্তমানে মেলামাইন, এলোমিনিয়াম, কাঁচের তৈরি এবং প্লাস্টিক সামগ্রীর সহজলভ্যতা ও মূল্য তুলনামূলক কম এবং বিভিন্ন রংয়ের বাহারী ডিজাইন, সময়ের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে ও আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহার এতটাই সুবিধাজনক যে, কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র এর ব্যবহার সবাই ছেড়ে দিচ্ছে। মেলামাইন, প্লাস্টিক, সিরামিকের প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে হার মানতে বসেছে এগুলো। বিগত কয়েক বছর পূর্বেও কাঁসা-পিতলের প্লেট, জগ, বদনাসহ নানাবিধ সামগ্রী প্রতিনিয়ত ব্যবহার করত মানুষ। কিন্তু সেখানে আজ হাতে গোনা কয়েকটি সৌখিন শিল্পকর্ম আমাদের গৃহে শোভা পাচ্ছে। এমনি করে যত দিন যাচ্ছে তত দেশের প্রায় সর্বত্র কাঁসা-পিতলের তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার কমে যাচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পুরাতন বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, কয়েক বছরে কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিসের মূল্য অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় নিত্য ব্যবহৃত অন্য জিনিসের মূল্য বাড়ে নি। মেলামাইন, প্লাস্টিক, কাঁচের তৈরি বাহারী ডিজাইনের তৈজসপত্র খুব কম মূল্যে সহজে পাওযা যায়, যা কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিসের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।

অন্যদিকে প্লাস্টিক, স্টিল এবং মেলামাইন সামগ্রীর ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন সহজে বহন সুবিধা, দামও হাতের নাগালে। কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিসের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এখন কাঁসা-পিতলের ব্যবহার নেই বললেও চলে। তবে এখনো সর্বত্র হিন্দু সম্প্রদায় বংশ পরস্পরায় বিয়ের অনুষ্ঠানে কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিস দিয়ে থাকে।

কাঁসা-পিতলের ব্যবসায়ীদের অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্যান্য পেশা যেমন-রাজমিস্ত্রী, ফেরিওয়ালাসহ বিভিন্ন কাজ করে তাদের জীবন চালায়।