সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
দারসবাড়ী মসজিদের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত বল্লাল সেন খননকৃত বালিয়া দীঘির দক্ষিণ পাড় ঘেঁষে পূর্বদিকেকিছুদূর গিয়ে চোখে পড়ে খঞ্জনদীঘির মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। একটি প্রাচীন জলাশয়ের পাশেই এ ধ্বংসাবশেষটি অবস্থিত। খঞ্চনদীঘির মসজিদটি অনেকের নিকট খনিয়াদীঘির মসজিদ নামে পরিচিত। আবার অনেকে একে রাজবিবি মসজিদও বলে থাকেন। বহুকাল ধরে মসজিদটি জঙ্গলের ভেতর পড়েছিল। কিছুকাল আগে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদটি মানুষের চোখে পড়ে। কিন্তু ইতোমধ্যে মসজিদটি প্রায় শেষ অবস্থায় এসে পৌছেছিল। প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ এখন এটিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বর্তমানে মসজিদটির একটি মাত্র গম্বুজ ও দেয়ালের কিছু কিছু অংশ কোন রকমে টিকে আছে। এগুলোর অবস্থাও খুব জীর্ণ। পূর্বে এই মসজিদের আয়তন ছিল ৬২Í৪২ ফুট। গম্বুজটির নিচের ইমারত বর্গের আকারে তৈরী। এই বর্গের প্রত্যেক বাহু ২৮ ফুট লম্বা। এটি মাঝের গম্বুজ। বড় কামরার সামনের দিকে (পূর্ব) একটি বারান্দা ছিল। ইটের তৈরী এ মসজিদের বাইরে সুন্দর কারুকাজ করা ছিল। যার নমুনা খুব সামান্য হলেও রয়েছে। খঞ্চনদীঘির মসজিদ কখন নির্মিত হয়েছিল এবং কে নির্মাণ করেছিলেন সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। তবে মসজিদ তৈরীর নমুনা দেখে পন্ডিতেরা অনুমান করেন যে এটি পনেরো শতকে নির্মিত হয়েছিল।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS